chaitanyasangha হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরেরাম হরেরাম রাম রাম হরে হরে

Blue whale vs Hare krishna


ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ বনাম হরেকৃষ্ণ চ্যালেঞ্জ
.
এখন সবার মুখে মুখে ব্লু হোয়েল গেমের সতর্ক বার্তা। সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই গেমের নির্মাতা মাত্র ২২ বছর বয়সের একজন রাশিয়ান যুবক, যার নাম ফিলিপ বুদেকিন। এটি মূলত কোনো গেম না, এক ধরণের ফাদঁ, যেখানে পা দিচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণরা।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন তারা এ ধরণের মরণ ফাদেঁ পা দিচ্ছে?
উত্তর হলো, এটা নতুন কিছু নয়। তরুণরা তাদের এ বয়ঃসন্ধিকালে এ রকম চ্যালেঞ্জিং কাজে অতুৎসাহী হয়, এমনকি জীবনের ঝুকি নিতেও পিছু পা হয় না। যেমন, নেশা করাও এক ধরণের মরণ ফাদঁ, যেদিকে তরুণ বয়সীরাই বেশি ঝুকে পরে। বেশিরভাগ তরুণ পরীক্ষামূলক ভাবে দেখতে গিয়ে জড়িয়ে পরে এবং আসক্ত হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ তাদের একাকীত্ব ঘুছাতে গিয়ে, এধরণের কাজে জড়িয়ে পরে। ব্লু হোয়েলের নির্মাতা নিজেই বলেছেন, "যারা আত্মহত্যা করতে চায়, তাদের পথকে সহজ করেছেন তিনি এ গেমের মাধ্যমে।" যেখানে তরুণরা সাধারণ এক যুবকের সৃষ্ট মায়ায় নিজের জীবনকে শেষ করে দিচ্ছে, সেখানে ভগবানের সৃষ্টট দৈবী মায়াকে অতিক্রম করবে।
.
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান বলেছেন,
"দৈবী হ্যেষা গুণময়ী মম মায়া দূরত্যয়া।
মামেব যে প্রপদ্যন্তে মায়ামেতাং তরন্তি তে।।"
অনুবাদ: আমার এই দৈবী মায়া ত্রিগুণাত্মিকা এবং তা দূরতিক্রমণীয়া। কিন্তু যাঁরা আমাতে প্রপত্তি করেন, তাঁরাই এই মায়া উত্তীর্ণ হতে পারেন।
ভগবান খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন, কেউ তার শরণাগত হলে তিনি সকল মায়া থেকে মুক্ত হতে পারেন। তো আসুন আমরা তরুনদের এসমস্ত প্রাণঘাতি চ্যালেঞ্জের দিকে নিরুৎসাহী করে, হরেকৃষ্ণ চ্যালেঞ্জ গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করি।
ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ গুলো যেমন,
ভয়ংকর গান শোনা, মুভি দেখা, ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠা, নিজেকে রক্তাক্ত করা, ছাদঁ থেকে লাফ দেয়া।
এভাবে নিজেকে শেষ না করে, হরেকৃষ্ণ চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে নিজের জীবন ধন্য করুন।
যেমন: শ্রীল প্রভুপাদের গ্রন্থগুলো পড়ুন, হরিনাম জপ করুন, হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করুন, ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে মঙ্গল আরতিতে যোগদান করুন, কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহণ করুন।🔷🔷🔷🔷🔷🔷
*হরেকৃষ্ণ*

0 comments:

মহাপ্রসাদ কি ও কেন?



প্রশ্নঃ মহাপ্রসাদ শব্দটি কে প্রচলন করেন? প্রসাদ ও মহাপ্রসাদের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ মহাপ্রসাদ প্রচলন করেছেন মহাপ্রভু। তবে বর্তমানে অনেকেই মহা অর্থ পবিত্র বলে ব্যাখ্যা করেন।
আসুন জেনে নিই প্রসাদ ও মহাপ্রসাদ এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য কিঃ
প্রসাদঃ দেবতার ভোগ শেষে যা গ্রহন করা হয় তাই প্রসাদ। প্রসাদ অর্থ কৃপা লাভ। প্রসাদের আরও কিছু অর্থঃ-...
১)প্রসন্নতা (চিত্তের প্রসাদ)
2) অনুগ্রহ (গুরুর প্রসাদে)
3) দেবতাকে নিবেদিত ভোজ্যসামগ্রী বা গুরুজনের ভুক্তাবশেষ;
প্রসাদ= প্র + √ সদ্ + অ হয়েছে এমন ।
মহাপ্রসাদঃ মহোৎসব শেষে যে প্রসাদ বিতরন করা হয় তাই মহাপ্রসাদ। সাধারনত অনেকে মিলে একসাথে বসে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের প্রসাদ গ্রহন হল মহাপ্রসাদ। চৈতন্য চরিতামৃতে আছে,
"যা কৃষ্ণের অধরামৃত তার নাম প্রসাদ আর যা ভক্তভুক্ত অবশেষ তার নাম মহাপ্রসাদ।’
বর্তমানে মহাপ্রভুর ভোগ ও মহাপ্রসাদ হিসেবে ভক্তরা গ্রহন করে থাকে। এ ছাড়া জগন্নাথ দেবের পুরীর নীলাচলের প্রসাদ ও মহাপ্রসাদ হিসেবে পরিচিত।
মহাপ্রসাদ কি- জয়

0 comments:

Message of Secretary













Hare Krishna,

Sri Chaitanya Shiksha O Sangskriti Sangha, University of Dhaka

0 comments:

Copyright © 1998 শ্রীচৈতন্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি সংঘ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়